• জে আর প্রিয়: এক উদীয়মান ছাত্রনেতা**

বর্তমান সময়ের ছাত্র রাজনীতিতে নতুন প্রজন্মের তরুণরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাদের মধ্যে একজন উদীয়মান ছাত্রনেতা হলেন **জে আর প্রিয়**। তিনি ছাত্রদলের একজন সক্রিয় সদস্য, এবং ছাত্র রাজনীতিতে তার উপস্থিতি এবং নেতৃত্ব অনেকের কাছেই আলোচিত। ২০+ বয়সী জে আর প্রিয় এখন **আবু আব্বাস কলেজে** পড়াশোনা করছেন, তবে তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং ছাত্র নেতৃত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতি তাকে কলেজের বাইরেও পরিচিত করেছে।

      1. ছাত্র রাজনীতিতে যাত্রা

জে আর প্রিয় ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। ছাত্রদলে যোগ দিয়ে তিনি বুঝতে পারেন, ছাত্ররাজনীতি শুধুমাত্র পার্টির স্বার্থে কাজ করা নয়, বরং ছাত্রদের অধিকার রক্ষা এবং দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা। ছাত্রদলে তার শুরুটা ছিল সাধারণ সদস্য হিসেবে, কিন্তু তার দৃঢ় মনোবল, একাগ্রতা এবং নেতৃত্বগুণের কারণে তিনি দ্রুত সদস্যদের মধ্যে এক বিশেষ স্থান অর্জন করেন।

      1. শিক্ষা এবং সাংগঠনিক ভূমিকা
    • আবু আব্বাস কলেজ**-এ পড়াশোনা করতে করতে, জে আর প্রিয় কেবল নিজে ভালো ফলাফল অর্জন করেননি, বরং কলেজের বিভিন্ন সাংগঠনিক কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। ছাত্রদের সমস্যাগুলি সমাধানে, কলেজের সার্বিক উন্নয়নে এবং ছাত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রম, যেমন সেমিনার, কর্মশালা, এবং সচেতনতা সৃষ্টির নানা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া, জে আর প্রিয় কলেজের ছাত্রদের মধ্যে একতা এবং সংগঠনের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করেছেন। ছাত্রদের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তিনি ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর পরিচালনায় ছাত্রদল আরও শক্তিশালী এবং সংগঠিত হয়ে উঠেছে।

      1. রাজনীতিতে ভবিষ্যৎ লক্ষ্য

জে আর প্রিয় জানেন যে, রাজনীতির সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের কল্যাণ। ছাত্র রাজনীতিতে তার লক্ষ্য শুধুমাত্র ছাত্রদের অধিকারের প্রতি প্রতিশ্রুতি পূরণ নয়, বরং দেশ ও সমাজের উন্নয়নে কাজ করা। তিনি বিশ্বাস করেন, একজন ছাত্রনেতার দায়িত্ব শুধু কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমার মধ্যে নয়, বরং দেশের বৃহত্তর সমাজ এবং রাষ্ট্রের প্রতি তার দায়বদ্ধতা রয়েছে। আগামী দিনে তিনি একজন বড় রাজনৈতিক নেতা হতে চান, যিনি দেশের যুবসমাজকে নেতৃত্বের গুণাবলি শেখাবেন এবং দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন।

      1. সামাজিক কর্মকাণ্ড

রাজনীতির পাশাপাশি, জে আর প্রিয় সামাজিক কর্মকাণ্ডেও সমানভাবে সক্রিয়। তিনি বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করে সমাজে পরিবর্তন আনতে চেষ্টারত। বিশেষ করে, তিনি ছাত্রদের মধ্যে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নানা ধরনের প্রকল্প চালান, যেমন পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি, গরীব ও অসহায়দের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম এবং শিক্ষামূলক কর্মসূচি। এসব কাজ তাকে কলেজের ছাত্রদের মধ্যে একটি নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

      1. শেষ কথা
    • জে আর প্রিয়** তার বয়সী অন্যান্য ছাত্রদের জন্য একটি উদাহরণ, যিনি রাজনীতি এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে নিজেকে শুধুমাত্র একজন ছাত্রনেতা হিসেবে নয়, বরং একটি শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে আগ্রহী একজন তরুণ নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। ছাত্রদলের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার কী রকম হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়, তবে তার দৃঢ় মনোভাব, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তাকে দেশের রাজনীতির মঞ্চে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দেবে—এটা নিশ্চিত।

References

edit