{কাজ চলছে}

সামুদ্রিক কর্দম

সামুদ্রিক কর্দম এমন এক ধরনের কর্দম যা পৃথিবীর উপকূলীয় এলাকাসমূহে দেখা যায়।উত্তরাঞ্চলের গলিত হিমবাহ অঞ্চলে এটি মাঝে মাঝে কুইক কর্দমে পরিণত হয় ,যা ঐ এলাকার ভূমিধধসের জন্য কুখ্যাত।

সামুদ্রিক কর্দমের মাটিকণা, কণার আকারের উপর ভিত্তি করে এমন একটি শ্রেণীর অংশ যা USDA'র শ্রেণীবিভাগের সাথে সম্পর্কিত যেখানে বালুকা ০.০৫ মি.মি, স্লিট ০.০৫-০.০২ মিমি এবং কর্দমের পরিধি ০.০০২ মিমি এর চেয়েও কম। একইসাথে একারণেই এরূপ আকারের কণাগুলো একটি সামুদ্রিকতন্ত্রে জমা হতে হতে সমুদ্রে কর্দমের ক্ষয়সাধন এবং পরিবহনে ভূমিকা রেখে চলেছে।

মাটিকণা জলীয় দ্রবণে দ্রবীভূত হয়ে যায়, প্রাথমিকভাবে বালুকা মাধ্যাকর্ষণের দ্বারা প্রভাবিত হলেও স্লিট এবং কর্দম দ্রবণে ভাসতে থাকে, এটি অসচ্ছতা নামেও পরিচিত, যেখানে ভাসমান মাটিকণার জন্য দ্রবণের বর্ণ ঘোলাটে বাদামী বর্ণ ধারণ করে। তারপর এই মাটিকণাগুলো সমুদ্রতলে গিয়ে আরো অধিক উচ্চমাত্রার কর্দমে জমা হয়। কোনো মাটিতে যদি ৫৫% এর বেশি কর্দম বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় তবে একে কর্দম হিসেবে গণ্য করা হয়। এই কারনেই কর্দমের বিক্রিয়া পানি, তাপ এবং অন্যান্য রাসায়নিক উপাদানের সাথে এমন হয়ে থাকে।

কর্দম সমুদ্রতলে জমা হয়ে ফ্লোকুলেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর গঠনগত পরিবর্তন সাধন করে থাকে, এই পদ্ধতিতে সূক্ষাতিসূক্ষকণা একত্রে জমাটবদ্ধ হয় বা দল বাঁধে।পরস্পর প্রান্তভাগ দিয়ে অথবা প্রান্তভাগের সাথে মূলভাগের জোড়া লেগে এটি সম্পন্ন হয়। প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা মাটিকণা নিজেদের মধ্যে পরস্পর ক্রিয়াশীল হয়। কর্দম ফ্লোকুলেশন ছাড়াও একসাথে জড়ো হয়ে অথবা স্থান পরিবর্তন করে নিজেদের গঠনগত পরিবর্তন করে থাকে।

কর্দম নিজেরাই জড়ো হয়ে বিভিন্ন আকৃতি লাভ করতে পারে, যেখানে প্রত্যেকটিই পৃথক বৈশিষ্ট্যপূর্ন হয়ে থাকে।