হযরত শাহ তাজ উদ্দিন কোরেশী (র:)
হযরত শাহ তাজ উদ্দিন কোরেশী (র:) হযরত শাহ জালাল (র:) এর সফর সংগী ছিলেন ।হযরত শাহ জালাল (র:) চৌকি পরগণা হয়ে সিলেট মুখী রাজা গৌড় গোবিন্দের দিখে অগ্রসর হন এবং এই চৌকি পরগণা ছিল সিলেটের শেষ হিন্দু রাজা গৌড় গোবিন্দের রাজ্যের শেষ দক্ষিন সিমানা, এবং এই সিমান্ত রক্ষক বা শাসকের নাম ছিল সিং বা সিংহ রাজা। সেখানে সিং দীঘী বা সিংহ পুকুর রয়েছে। সিং রাজা যখন আল্লাহর ওলিদের আগমন বুঝতে পারলেন তখন তাহাদেরকে প্রতিহত করার প্রস্হতি নিতে ছিলেন , এমন সময় অজুর জন্য আল্লাহর ওলিগন সুপ্রিয় পানি না পাইলে হযরত শাহ তাজ উদ্দিন কোরেশী (র:) হাতের আসা বা লাঠি ছুড়ে মারেন ( বাল্লা মারেন) যে স্হানে আসা বা লাঠি পতিত হয় সেই স্হান থেকে আল্লাহর কুদরতে পানি উঠতে থাকে এবং বিশাল জলাশয়ের সৃস্টি হয়ে বিলে পরিনত হয় এবং ইহা বাল্লা বিল নামে পরিচিতি লাভ করে। ওলির এই কেরামতি দেখে সীমান্ত শাসক বা রক্ষক সিং রাজা ভয়ে পালিয়ে যায়, এবং গৌড় গোবিন্দের শেষ দক্ষিন সীমানা চৌকি পরগণা সর্ব প্রথম মুসলমানের দখলে আসে, তাই চৌকি পরগণা ইতিহাসে স্বরনীয় স্হান হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
“তোয়ারিয়ে জালালী” গ্রন্হে বলা হয়েছে,
“ চৌকি নামে ছিল যেই পরগণা যাহার
সিলেটের হর্দ্দ ছিল সাবেক মসুর
সেখানে আসিয়া তিনি পৌছিলা যখন
খবর পাইলা তবে গোবিন্দ তখন”
হযরত শাহ তাজ উদ্দিন কোরেশী (র:) শায়িত আছেন নবীগঞ্জ চৌকি বিলপাড়ে বাল্লা বিলের দক্ষিন তীরে তাহার অধ:স্হন পুরুষ সাকির মোহাম্মদ লাখেরাজ খানেবাড়ী সংলগ্ন স্হানে, এবং সেখানে তাহার অধ:স্হন পুরুষ আলহাজ্ব আব্দুল হাকিম চৌধুরী হাফিজিয়া মাদ্রাসা রয়েছে। হযরত শাহ তাজ উদ্দিন কোরেশী (র:) মাজার প্রতিনিয়ত ভক্ত আশেকান জিয়ারত করেন এবং প্রত্যেক বৎসর মাঘ মাসের শেষ বুধ ও বৃহস্পতিবার ওয়াজ ও ওরছ অনুষ্ঠিত হয়। ( [1] , মুস্তাকীম আহমদ চৌধুরী)
- ^ হবিগঞ্জের ইতিহাস