হযরত খাজা ইসমাইল হোসাইন চিস্তি আল হাসান ওয়াল হোসাইনি (রঃ) [জম্ম ১৮৭৬-ওফাত ১৯৫১] ইসমাইল চিস্তি হলেন ভারত উপমহাদেশের একজন উচ্চপদস্থ সুফি সাধক। তিনি ১৮৭৬ সালে জম্মগ্রহণ করেন ও ১৯৫১ সালে পরলোকগমন করেন। তিনি ইসমাইল চিস্তি নামে অধিক পরিচিত। তিনি ভারতে চিস্তি ধারার মাধ্যমে আধ্যাত্বিক ধারা বা সিলসিলা এমনভাবে পরিচিত করেন পরবর্তীতে তার অনুসারীরা সুফি ধারাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।
প্রারম্ভিক জীবন ও নৈপুণ্য [সম্পাদনা] ধারণা করা যায়,খাজা ইসমাইল হোসাইন চিস্তি ১২৯৩ হিজরী/১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে বোম্বের মাশুরা শরিফের বেলগা জম্মগ্রহণ করেন। তার পিতা তাকে সাত বছর বয়সে মকতবে তথা হেফজখানা কুরআন শিক্ষার জন্য প্রেরন করেন। দশ বছর বয়সে তিনি হেফজখানা থেকে হাফেজী শেষ করে ভারতের একটি আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। অতঃপর ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে খাজা ইসমাইল হোসাইন চিস্তি মাওলানা পাশ করে এরপর তিনি বিশ্বের মায়া ত্যাগ করে ইসলামের বিশেষ জ্ঞানার্জনের ও উচ্চ শিক্ষার জন্য বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তর হয়। সূফি দিক্ষা চিস্তিয়া তরীকার অপর প্রসিদ্ধ সুফি সাধক শাহেন শাহ পাক খাজা শামসুদ্দিন চিশতী (রঃ) এর নিকট হতে খাজা ইসমাইল হোসাইন চিস্তি মুরিদ হন/শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। অতঃপর তার নিকট হতে সঠিক জ্ঞানার্জনের পর হযরত খাজা শামসুদ্দিন চিস্তি (রঃ) খাজা ইসমাইল হোসাইন চিস্তিকে খিলাফত বা সুফি প্রতিনিধিত্ব প্রদান করেন।