ইংরেজী সালটি আনুমানিক ১৮৩০-১৮৪০ খ্রিষ্টাব্দ,বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার অন্তর্গর ১২ নং বাসুদেব ইউনিয়নের অন্তর্গত বর্তমান চান্দি গ্রামের একজন ৭ কি ৮ মাসের গর্ভবতী মহিলা এক অজানা আসুখে মারা যান। যথারীতি তাকে দাফন করা হল।ঠিক ৪ কি ৫ মাস পরে ঘটে গেল এক অলৌকিক ঘটনা, একটি কবরের ভিতর থেকে একটি শব্দ আসে।হয়ত কবরের ভিতর শিয়াল ঢুকেছে আর মরা মানুষের হাড় কামড়াচ্ছে। না এরকম না যেন দুটো হাড় একসাথে শব্দ করলে সেমন শন্দ হয় ঠিক তেমন। মানুষজন ছিল বাজারের রাস্তার পাশে।তাই অনেকেই ব্যপারপ্ট বেশ কয়েকদিন থেকেই লক্ষ করছে।অনেকেই বলছে কবরটি খুড়ে দেখা উচিৎ আসলে কি। অনেকেই আবার ভয় পাছে।এভাবে এলাকায় জনরবের সৃষ্টি হয়।লোকজন লক্ষ করেন ক্যেক মাস পূর্বে যে গর্ভবতী মহিলাটিকে দাফন করেছলেন ঠিক সেই কবর থেকেই শব্দটি আসছে। অনেকই কথা কথায় বলে ফেলে হয়ত বাচ্ছাটি জীবিত আছে, আবার বলে এটি কিভাবে সম্ভব।ব্যপারপ্টি রীতিমত অনেকেই চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়ায়। মৃত মহিলাটির পরিবারের অনেকেই বলে যে কবরটি খুড়ে দেখ যাক আসলে কি? তার জন্য দরকার সাহসী কয়েকজন লোক আর সবচেয়ে বড় কথা হল কোন বড় ধরনের হুজুর ছাড়া সম্ভব নয়। অনেক দুর থেকে সম্ভবত বর্তমান কসবা থানার অন্তর্গত ঈমামবাড়ি থেকে একজন হুজুর ডেকে এনে সমস্ত ঘটনা খুলে বলার পর হুজুর কবরের কাছে গিয়ে লক্ষ করলেন যে ভিতরে কোন একজন মানুষ দুটো হাড় দুহাতে নিয়ে বাচ্ছারা যেমন খেলনা নিয়ে খেলা করে ঠিক তেমন ভাবে খেলা করছেন হয়ত। হুজুর অনেকক্ষন চিন্তা করে পরে বললেন দুই তিন জন সাহসী লোক আস কবর খুড়তে হবে সামান্য ফাক করে আগে দেখ কি আছে তবে অজু করে আগে পাক হউ এবং দোয়া পরে কাজ শুরু কর কিন্তু সাবধান এটা মহিলার কবর, কোন রকম যেন শালীনতা এবং শরীয়তের বিধান ভঙ্গ না হয়।তারপর কবর একটু খুড়ে ফাক করে দেখা গেল যেন মনে হচ্ছে একটি শিশু বাচ্ছা ভিতরে রয়েছে। সবাই ভয় পেয়ে যায়।এ কিকরে সম্ভব।হুজুর বললেন সবই আল্লাহর কুদরত।কবর ঢেকে ফেল এবং লাশের ওয়ারিশগনকে বলেন আমরা এখন কি করতে পারি? তারা বলেন বাচ্ছাটিকে বের করে আনেন। হুজুর বললেন এটা প্রকাশ্যে সম্ভব নয়, বাচ্ছাটি এখনো সূর্যের আলো দখেনি। হটাৎ করে বের করে আনলে বাচ্ছাটির চোখগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বাচ্ছাটিকে একটি কাথা দিয়ে মুড়িয়ে বের করতে হবে যেন সূর্যের আলো না দেখে।একজন লোক অনেক ভয়ে ভয়ে বাচ্ছাটিকে সম্পুর্ন কাঠা দিয়ে অন্ধকার করে কবর থেকে বের করলেন। তাকে তার নানীর ঘরে নিয়ে বললেন এই বাচ্ছাটি ছিল ফুটফুটে সুন্দর মেয়ে বাচ্ছা, যেনতেন বাচ্ছা নয় এটি আল্লাহর্ সরাসরি কুদরতী দান, তাকে যেন সারাক্ষন অন্ধকার ঘরে রাখা হয়। রাতে অল্প আলোতে রাখা হয়, ধীরে ধীরে আলো বাড়ালে তার চোখ দুটো সূর্যের আলোর সাথে মানানসই হলে যেন তাকে স্বাভাবিক বাচ্ছাদের মত বাইরে বের করা হয়, এর জন্য সময় লেগেছিল প্রায় ১০ মাস থেকে ১ বছর। ধীরে ধীরে মেয়েটি বড় হলে তাকে বর্তমান চিনাইর গ্রামের উত্তর পাড়ার খন্দকার বাড়িতে বিয়ে দেয়া হয়। তার ঘরে একটি মেয়ে সন্তান জন্ম হয়। বড় হয়ে যখন বিয়ের উপযুক্ত হলে তাকে চিনাইর উত্তর পাড়া মুন্সী বাড়ির আমীন উদ্দিনের কাছে বিয়ে দেয়া হয়। তার ঘরে ১ম একটি ছেলে সন্তান জন্ম হল।