প্রান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৫শে বৈশাখ সনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।বাল্যকালে রবীন্দ্রনাথকে ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নর্মাল স্কুলের শাসনে থাকতে পারেননি। এসনকি সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথকে ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য ইংলান্ড পাঠানো হলেও দেড় বছর পরে পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে তিনি দেশে ফিরে আসেন।বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করেননি, সাহিত্যের বিচিএ তাঁর পদচারণা এক বিস্সয়ের বস্তু। তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থেই অসামান্য প্রতিভাধর।বাল্যেই তাঁর কবি প্রতিবা উন্মেষ ঘঠে।মাএ পনেরো বছর বয়সে তার বনফুল কাব্যগ্রন্হ প্রকাশিত হয়।১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ গীতাজ্ঞলি কাব্যের জন্য এশীয়দের মধ্যে প্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরুস্কার লাভ করেন।বস্তুত তাঁর একক সাধনাই বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সকল শাখায় দ্রুত উন্নতি লাভ করে এবং বিশ্বদরবারে গৌরবের আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়।তিনি একাদারে সাহিত্যিক, দার্শনিক, সুরকার, নাট্য প্রযোজক ও অভিনেতা।কাব্য, ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটক,প্রবন্ধ,গান, ইত্যাদি সাহিত্যে সকল শাখায় তাঁর অবদান সমৃদ্ব। তাঁর অজস্র রচনার মধ্যে মানসী, সোনার তরী, চিএা কল্পনা, ক্ষণিকা, বলাকা, পুনশ্চা, চোখের বালি, গোরা, ঘরে বাইরে, যোগাযোগ, শেষের কবিতা, বিসর্জন, ডাকঘর, রক্তকরবী, গল্পগুচ্ছ, বিচিএ প্রবন্ধ ইত্যাদি বিশেসভাবে উল্লেখযোগ্য। ২২শে শ্রাবন ১৩৪৮ সনে কলকাতায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই। এই সূ্যকরে এই পুষ্পিত কাননে জীবন্ত র্হৃদয়-মাঝে যদি স্থান পাই! ধরায় প্রানের খেলা চিরতরঙ্গীত, বিরহ মিলন কত হাসি-অশ্রুময়- মানবের সুখে দুঃখে গাঁথিয়া সংগীত যদি গো রচিতে পারি অমর-আলয়! তা যদি না পারি, তবে বাঁচি যত কাল তোমাদেরি মাঝখানে লভি যেন ঠাঁই, তোমরা তুলিবে বলে সকাল-বিকাল নব নব সংগীতের কুসুম ফুটাই। হাসি মুখে নিয়ো ফুল, তার পরে হায় ফেলে দিও ফুল, যদি সে ফুল শুকায়।।