কবি আমিনুল ইসলাম
বাবা মানে বটবৃক্ষ আমিনুল ইসলাম
বাবার মতো আপন ভবে নেইতো কেহ আর, কষ্ট করে মোদের জন্য
ঘুচাবে অন্ধকার।
সকল দুখের সাথী তিনি কষ্ট করে কত, আশা পূরণ করে বাবা চাই চাই যত।
রৌদ্রে পোড়ে কষ্ট করে গায়ে ঝরে পানি, বাবা তোমার মতো ভবে আপন কেউ না জানি।
লাঙল কাধে হাতে পাচন মাঠে যখন যাও, ধরলে বায়না তোমার সাথে বলো রোদে পুড়বে গাও।
তোমার মতো পৃথিবীতে হয়না এমন কেহ, মোদের সুখের জন্য বাবা পুড়ছে তোমার দেহ।
তবুও তাকে কষ্ট বলো না মিষ্টি মিষ্টি হাসো, আমি কষ্ট পেলেই বাবা তুমি ছুটে আসো।
কেন তুমি এমন করো? বুঝতে পারিনি আজো, দেখিনি আমি তোমায় বাবা নিত্য নতুন সাজো।
সকল চাওয়া পাওয়া তুমি পূর্ণ করেছো সবি, তুমি বাবা সূর্যের মতো আলোর প্রতিচ্ছবি।
কবিতা
editমৃত্যু অবধারিত আমিনুল ইসলাম
আজ মরলে কাল দুদিন হবে কিসের এত বড়াই, লাভ হবে না তোমার কিছু আমল খাতা ছাড়াই।
মনে তোমার থাকলে কালি করো পরিষ্কার, থাকলে তোমার সাদা মনটা পাবে পুরষ্কার।
করছো কত দালান বাড়ি সবি রবে পড়ে, যাবে না তো সঙ্গে তোমার তুমি গেলে মরে।
আপন সবে পর হইবে যাবে সরে দূরে, তোমার লাইগা সাদা শাড়ি দেবে অঙ্গে জুড়ে।
ঝোপের বাঁশ কাটিয়া আনবে ঘরের ছাউনি দিতে, বাজার থেকে আনবে আতর সুন্নাত হাতে নিতে।
পাড়া পড়শী কিংবা স্বজন কাঁধে নেবে খাট, রাখিয়া আসবে একা তোমায় অপেক্ষায় আখিরাতের মাঠ।
গেলে তুমি একবার চলে আসবে না কো ফিরে, সময় থাকতে হাতের মুঠোয় আমল করো ধীরে।
কবিতা
editঅবহেলিত কৃষক মোরা আমিনুল ইসলাম
আমি কৃষকের ছেলে কৃষি কাজ করি মাঠেই থাকি রোজ, সমাজে তাই পাই না রে দাম সমাজ থেকে নিখোঁজ।
অবহেলিত আমি,লাঞ্চিত আমি অনাহারে কাটে দিন, পেট মোটা ওরা সমাজের রাজা সুখের বাজায় বীণ।
সমাজে আজ গদিতে বসে করছে কত দাপট, অনাহারী তারা পেটের দায়ে মিথ্যে করছে শপথ।
ওরা দালালের দল প্রতিনিয়তই করছে দালালগিরি, আসলে ওরা সমাজের মাঝে ঘাসফড়িং, করছে তিড়িংবিড়ি।
অবহেলিত সোনা ফলানো শ্রম দেওয়া সেই মানুষ, ন্যায্য মজুরি পায় না তারা নাই মানবতা ও হুঁশ।
এই সমাজে কৃষক শ্রমিক
অবহেলিত হয়, বুঝতে পারবে নেমে দেখো মাঠে কৃষক কারে কয়।
সোনা ফলাতে মাঠে তাদের গা ফেটে যায় রোজ, আসলে তাদের পরিশ্রম কি শুধু নিও একটি বার খোঁজ।
শুধু দূর থেকে ঐ ছায়ায় বসে আঁখি দুটি দিও খুলে, মজুরি নিয়ে টানাহেঁচড়া দেখবে নিজে মূলে। কবি আমিনুল ইসলাম (talk) 13:47, 17 November 2022 (UTC)